০০ দে শ প রি চি তি ০০
ঐতিহাসিক পটভূমি
প্রস্তুর যুগের শিকারি-সংগ্রাহক মানুষের বিচরণ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়। ১৪ শতকে ইউরোপীয়রা এই অঞ্চলে প্রবেশ করে। এখানে বসবাসকারী বান্টু ভাষী মানুষেরা স্বর্ণ ও তামার খনি আবিষ্কার করে এবং পূর্ব আফ্রিকায় সফল বাণিজ্য পরিচালনা করে। ১৬৫২ সালে উত্তমাশা অন্তরীপে ডাচরা উপনিবেশ স্থাপন করে। ১৭৯৫ সালে এই অন্তরীপটি ব্রিটিশদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। অভ্যন্তরে গড়ে তোলা অন্যান্য ডাচ উপনিবেশও ১৯০২ সালের মধ্যে ব্রিটিশরা অধিকার করে নেয়। ইংরেজরা তীব্রতর দমননীতি চালায় দেশটির আদি অধিবাসীদের উপর। বোয়ার উপজাতিগোষ্ঠী ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুললেও ১৮৮৯-১৯০২ সাল পর্যন্ত স্থায়ী যুদ্ধে তারা পরাজিত হয়। ১৯৬১ সালের মধ্যে ব্রিটিশ উপনিবেশগুলো স্বাধীন হয়ে যায়। বিশ শতকব্যাপী সংখ্যাগুরু কালো মানুষদের দেশ দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গদের আধিপত্য বজায় ছিল। ১৯৯৪ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে কৃষ্ণাঙ্গদের নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা প্রেসিডেন্ট পদে অধিষ্ঠিত হন। এই সালেই দক্ষিণ আফ্রিকা কমনওয়েলথে যোগদান করে।
অবস্থান ও আয়তন
এটি ২৯০০র্০ দক্ষিণ অক্ষাংশ এবং ১৯০০র্০ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত। দেশটির উত্তরে নামিবিয়া, বোটসোয়ানা ও জিম্বাবুইয়ে, উত্তর-পূর্বে মোজাম্বিক ওসোয়াজিল্যান্ড, পূর্বে ভারত মহাসাগর, দক্ষিণে ও পশ্চিমে আটলান্টিক মহাসাগর।
আয়তন
দেশটির আয়তন প্রায় ১২,২১,০৩৭ বর্গকিলোমিটার। আয়তনের দিক থেকে এটি বিশ্বের ২৫তম বৃহত্তম দেশ।
প্রশাসনিক ব্যবস্থা
দেশটিতে ৯টি প্রদেশ ও ৫২টি জেলা রয়েছে।
উচ্চতম স্থান
দেশটির উচ্চতম স্থান হচ্ছে_চ্যাম প্যাঞ্জর দুর্গনে, যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১১,১৮১ ফুট উঁচুতে অবস্থিত।
জলবায়ু
দেশটির দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের আবহাওয়ায় ভূমধ্যসাগরীয় বায়ুর প্রভাব রয়েছে। শীতকালে বৃষ্টিপাত হলেও দেশটির অধিকাংশ অঞ্চলে আবহাওয়া গ্রীষ্মমণ্ডলীয়। যদিও পূর্ব থেকে পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত তাপমাত্রা কম। বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ১,০০৮ মিলিমিটার।
প্রধান নদী
অরেঞ্জ, ভাল, লিমপাপো
প্রাকৃতিক সম্পদ
স্বর্ণ, ক্রোমিয়াম, এন্টিমনি, কয়লা, আকরিক লৌহ, ম্যাঙ্গানিজ, নিকেল, হীরক, পস্নাটিনাম, প্রাকৃতিক গ্যাস ইত্যাদি।
ভস্নাডিভোস্টক
এটি প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং বর্তমান রাশিয়ার বিখ্যাত সমুদ্র বন্দর। জাপান সাগরের তীরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এর অবস্থান। এখানে রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ নৌ-ঘাঁটি রয়েছে। পরাশক্তির ঠান্ডা লড়াইয়ের সময় এই ঘাঁটিটির গুরুত্ব ছিল অপরিসীম।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন